1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
লভ্যাংশ না দেওয়া আলহাজ্জ টেক্সটাইলের অস্বাভাবিক দর নিয়ে প্রশ্ন - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:২৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন ক্ষমতাসীন দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বাদলের মাদক,জুয়া ও রমরমা দেহ ব্যবসা বিশ্বনাথে অবশেষে অস্ত্র ও সহযোগী’সহ পুলিশের খাঁচার বন্দি কুখ্যাত ডাকাত আজির টংগী’তে অবস্থিত ‘জাবান হোটেল’ যেনো অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী ও মদ সেবনের নিরাপদ আড্ডাখানা বরখাস্তের পরও স্বপদে বহাল বিতর্কিত সেই অধ্যক্ষ প্রতিষেধকের অভাবে সেলিম মাদবরের মৃত্যু মিরপুরে মানব পাচার ও দেহ ব্যবসা চক্রের মূল হোতা মারুফের খুটির জোর কোথায়? হোটেল ক্লিনার থেকে কোটিপতি মারুফ ! সিরাজদিখানে ৯ দিন ধরে কৃষক নজরুল নিখোঁজ, আতংকে পরিবার ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব মা দিবস পালন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ আলী মিঠুল
লভ্যাংশ না দেওয়া আলহাজ্জ টেক্সটাইলের অস্বাভাবিক দর নিয়ে প্রশ্ন

লভ্যাংশ না দেওয়া আলহাজ্জ টেক্সটাইলের অস্বাভাবিক দর নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের কথা থাকলেও তা পরিপালন করেনি আলহাজ্জ টেক্সটাইল। কোম্পানি পরিচালকদের শেয়ার রয়েছে মাত্র ১২.৭৮ শতাংশ। গত দুই বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশও দেয়নি এই কোম্পানি। টানা দুই বছর বন্ধ থাকা কারখানা ১৫ জুন থেকে চালু হলেও ইপিএস আহামরি নয়। তবু শেয়ারদর গত চার মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০৭ শতাংশ।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছের ১১ এপ্রিল আলহাজ্জ টেক্সটাইলের শেয়ার দর ছিল ৩০.৭ টাকা। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ৬৩.৫ টাকা। অর্থাৎ গত চার মাসে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩২.৮ টাকা বা ১০৭ শতাংশ।

গত ২৯ আগস্ট দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে আলহাজ্জ টেক্সটাইলসকে চিঠি দেয় ডিএসই। ওই চিঠির জবাবে আলহাজ্জ টেক্সটাইলস কর্তৃপক্ষ জানায়, কোনো প্রকার অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ছে।

উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার বিধান থাকলেও সেটি পরিপালন করেনি আল-হাজ্জ টেক্সটাইলস। চলতি বছরের ৩১ জুলাই শেষে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার রয়েছে মাত্র ১২.৭৮ শতাংশ। সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ হওয়ায় গত মে মাসে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে তলব করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১৫ জুন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কারখানা চালু করেছে। এর আগে মূলধনের সমস্যা, বাজারে পণ্যের চাহিদা না থাকা এবং গুদাম মজুদ পণ্যে থাকায় নতুন পণ্য রাখার জায়গার অভাব দেখিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ জুন এক মাসের জন্য কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। প্রথমে এক মাসের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তীতে কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। কারখানা বন্ধ থাকায় ২০১৯ ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কে নো লভ্যাংশ দেয়নি আলহাজ্জ টেক্সটাইল।

প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৯৮৩ সালে তালিকাভুক্ত হয় আল-হাজ্জ টেক্সটাইল। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মুলধন ২২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সঞ্চিতি ঘাটতি ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এবং প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি।

প্রতিবেদনে তথ্যানুসারে, গত তিন মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ শেষে আল-হাজ্জ টেক্সটাইলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২০ টাকা; নয় মাসে (জুলাই ২০- মার্চ২১) ইপিএস হয়েছে ০.৩৮ টাকা। এছাড়া গত ৫ বছরের ইপিএস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতি বছরই কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় কমেছে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.৩৬ টাকা; ২০১৬ সালে ছিল ১.৫৩ টাকা; ২০১৭ সালে ছিল ১.৭৪ টাকা; ২০১৮ সালে ছিল ০.৪৮ টাকা এবং ২০১৯ সালে উৎপাদন বন্ধ থাকায় ইপিএস প্রকাশ করেনি। ২০২০ সালে টেক্সটাইলটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে .৯৩ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৫ বছরের ব্যবধানে কমেছে। ২০১৫ সালে আল-হাজ্জ টেক্সটাইল এনএভি ছিল ১৩.৯৩ টাকা; ২০১৬ সালে ছিল ১৩.৫৪ টাকা; ২০১৭ সালে ১৩.৫৯ টাকা; ২০১৮ সালে ১২.৩৮ টাকা; ২০১৯ সালের তথ্য দেয়া নেই এবং ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির এনএভি আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৪৫ টাকা।

মুনাফাও ধারবাহিক কমে এখন লোকসানে আলহাজ্জ টেক্সটাইল। ২০১৫ সালে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ২ কোটি ৭ লাখ টাকা; ২০১৬ সালে মুনাফা ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা; ২০১৭ সালে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা;২০১৮ সালে মাত্র ৯৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা; এবং ২০২০ সালে কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ২০১৯ সালের তথ্য প্রকাশ করেনি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »